আমরা শুরুতেই একটু জেনে নিই ;
গ্রাফিক্স ডিজাইন কী???
এটি একটি জার্মান শব্দ। গ্রাফিক্স এর অর্থ হচ্ছে রেখা বা চিত্র। রেখা ব চিত্রের মাধ্যমে নকশা কাঠামো তৈরির প্রক্রিয়াকেই মুলত গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়।।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অনেক সঙ্গা রয়েছে। এর মধ্যে নেভিল ব্রডি (একজন বিশ্ববিখ্যাত গ্রাফিক্স ডিজাইনার)) বলেছেন, "" রেখা,নকশা, ডিজাইন প্রয়োজনসমুহ , তথ্য ও কালারের এমন একটা সংশ্লেষন যা এর অংশসমুহের সমষ্টির থেকেও বেশী কিছু তৈরি করতে পারে ""।
নেভিল ব্রডি তার এই উক্তির জন্য অনেক ধরনের আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উৎপত্তি ;
গ্রাফিক্স ডিজাইন এটি অনেক প্রাচীন,পুরনো।। এটি ফাইন আর্টস নাম পরিচিত ছিল.... কিন্তু উনিশ শতকের শেষের দিকে ব্রিটেন এ গ্রাফিক্স ডিজাইন ফাইন আর্টস থেকে আলাদা হয়ে যায় । তখন থেকে এটি সতন্ত্রভাবে আত্নপ্রকাশ করে।। এছাড়া একজন ইউএস নাগরিক একজন বই ডিজাইনার উইলিয়াম এডিসন ডুইজ্ঞিন্স এর হাত ধরে ১৯২২ সালে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর পথ চলা শুরু হয়েছি।।
কিন্তু ১৯৯৫-৯৬ সালে বাংলাদেশে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর যাত্রা শুরু হয়েছিল।
এবার জেনে নিই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ক্ষেত্রসমুহ এবং ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন ;
আপনি যদি অনলাইন এ কাজ করতে চান তাহলে প্রথমেই গ্রাফিক্স ডিজাইনটিকে বেছে নিন। প্রতিনিয়ত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন শুধু অনলাইন এই নয় বরং এটি অফলাইনেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনলাইন এ বিভিন্ন সাইটে যেমন গ্রাফিফিক্স ডিজাইন এর কাজ করা যায়। তেমনি আপনার আশেপাশের বা নিকটবর্তী বিভিন্ন কোম্পানির গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে দিতে পারবেন। আপনি যদি ভালো একটা ইনকাম বা হ্যান্ডসাম মানি পেতে চান তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন এ যোগ দিন। যেকোনো রিপুটেড কোম্পানিতে ভালো সেলারী পাওয়া যায়। আপনি নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমাণ করে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে এসব কোম্পানিতে কাজ করেন৷ আমাদের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রয়োজন হয়। সৃজনশীলতাটিকে কাজে লাগিয়ে সাফল্যের শিখরে আরোহন করতে চান? তাহলে প্রচুর সম্ভাবনাময় পেশা গ্রাফিক্স ডিজাইন এ যুক্ত হন ।
শিল্পবোধ সম্পন্ন যেকোনো ব্যক্তি এবং যার নিজের উপর ফুলি কনফিডেন্স আত্নবিশ্বাস আছে তারা ফ্রীল্যান্সিং এর মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা মুলত কি ধরনের কাজ করেন ঃঃ
১. ফ্যাশন ডিজাইন
২. টেক্সটাইল ডিজাইন
৩. আ্যাড মেকিং
৪.ইন্টেরিয়র ডিজাইন
৫. ব্রান্ডিং
৬. লোগো
৭. প্রমোশন
৮. কার্টুন মেকিং
৯. ইন্টারেক্টিভ মিডিয়া
১০. প্রিন্ট মিডিয়া
১১. টিভি মিডিয়া
১২. ওয়েব মিডিয়া
১৩. ফটোগ্রাফি
১৪. গেম ডিজাইন
১৫. ফাইন আর্ট
১৬. ইনফরমেশন মিডিয়া
১৭. মোবাইল এপ ডিজাইন ............. ইত্যাদি ।
আরো অনেক সেক্টর এ গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজগুলোর ছড়াছড়ি । গ্রাফিক্স ডিজাইনরা উপরোক্ত কাজগুলো করে থাকেন৷
আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে চান, তাহলে কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি দক্ষ হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার সম্পর্কে জানা আবশ্যক। তব এক্ষেত্রে এডোবি ফটোশপ ও এডোবি ইলাস্ট্রেটর এই দুটি সফটওয়্যার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধারণা ও ব্যবহার করার সক্ষমতা থাকতে হবেই৷
ফ্রীল্যান্সিং এর মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে গ্রাফিক্স এবং মাল্টিমিডিয়ার কাজ মোট ১৪% .. গতবছরে মাল্টিমিডিয়ার কাজ এ আয় বৃদ্ধির হার ছিল ৪৪%... এছাড়া ইল্যান্সে ২০১২-১৩ সালে গ্রাফিক্স রিলেটেড জব পোস্ট এর পরিমাণ ৯ লাখ ১৩ হাজারেরও বেশী । আর এক্ষেত্রে মোট ৫শত ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এর পেছনে ব্যয় হয়েছিল।
তরুণ-তরুণীদের ফ্রীল্যান্সিং এ আসার জন্য অন্যতম সর্বাধিক পছন্দের সেক্টর হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। এর মুল কারণ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে অনেক ইনকাম করা যায় এবং চাহিদা অনেক ।
এখন বিভিন্ন কোম্পানি শুধু অনলাইন নির্ভর হচ্ছে। তারা এখন ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটে তাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো পোস্ট করে থাকে৷ এমন একসময় আসবে তখন সব কোম্পানি অনলাইন এই কাজের অফার দিবে। তাই ফ্রীল্যান্সিং এর চাহিদা কখনোই কমবে না,৷ এর চাহিদা শত শত গুণ বেড়েই যাবে।।
0 Comments