![]() |
ডেঙ্গু মশা ছবি:অনলাইন |
ডেঙ্গু একটি জনসাধারণ ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকা একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এই ভাইরাসের মূল প্রকার ছিলো ডেঙ্গু ভাইরাস (DENV)। এই ভাইরাসটি হুম্যান বড়চেতন মসৃণ মলতা কোষে আক্রমণ করে ব্যাপক জনসংখ্যার মধ্যে ছড়িয়ে ফেলতে পারে।
ডেঙ্গুর লক্ষণগুলি হতে পারে:
.জ্বর
.শরীরে ব্যথা
.অতিবাধা ও চোখের পাতায় লাল দাগ
.ডাকাতি বা মেজারিয়া-যেমন লক্ষণ
.শ্বাসকষ্টের অভাব
ডেঙ্গু ভাইরাস মশা দ্বারা ছড়ায়, এবং এটি সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে গরম ও উচ্চ আবহাওয়া সারা বছরে বিশেষভাবে বৃষ্টির মধ্যে বা পৌষ্টিক জলে থাকা জেলাদেশে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও মোকাবেলার জন্য মৌখিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নিজেকে ও আপনার আশেপাশের মানুষদেরকে মশা কাটার উপায় অনুসরণ করতে পারেন, যেমন মশা জালি ব্যবহার করা, দৈহিক চরকে পূর্ণ ধারণা, এবং বিশেষভাবে বৃষ্টির পর মশা বান্ধবো করা।
আপনি যদি ডেঙ্গুর লক্ষণ অনুভব করেন বা মনে করেন যে আপনি ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, তাদের বাচার জন্য তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মহানগরের বাইরের হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ডিসেম্বরের ২৮ দিনে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর চলতি বছর এডিস মশাবাহিত এ রোগে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০১ জন।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল আটটা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১০ জন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন আর ঢাকা মহানগরের বাইরের হাসপাতালে ৮২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ডিসেম্বরে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৫৪ জন। আর চলতি বছর দেশে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ২০ হাজার ৯৪৫ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১ লাখ ৯ হাজার ৯২৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হন ২ লাখ ১১ হাজার ১৮ জন।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৫৩ জন। এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে। ওই মাসে ডেঙ্গুতে ৩৯৬ জনের মৃত্যু হয়।
0 Comments