Ad Code

মাল্টিমিডিয়ার ধারণা

আজকে আমি আপনাদেরকে মাল্টিমিডিয়ার ধারণা দিবো।

মাল্টিমিডিয়ার ধারণা



  1. আদিকাল থেকেই মানুষ নিজেকে প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম বা মিডিয়া ব্যবহার করছে।  যেমন ; লেখা একটি প্রকাশ  মাধ্যম, শব্দ একটি প্রকাশ মাধ্যম, চিত্রও একটি প্রকাশ মাধ্যম। আমরা যখন অনেকগুলো প্রকাশ মাধ্যমকে নিয়ে কথা বলি তখনই মাল্টিমিডিয়া বলে তাকে চিহ্নিত করে থাকি।  সভ্যতার বিবর্তনের ও প্রযুক্তির কারনে এই মাধ্যমগুলোর বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে।। বিশেষ করে আমরা যখন ডিজিটাল যুগে বাস করছি তখন আমাদের প্রকাশ মাধ্যমের ধারণা বদলে গেছে। 


মাল্টিমিডিয়া হলো  মানুষের বিভিন্ন প্রকাশ মাধ্যমের সমন্বয়।  আমরা অন্তত তিনটি মাধ্যম বা মিডিয়া ব্যবহার করে নিজেদেরকে প্রকাশ করি।  সেগুলো হলো বর্ণ, চিত্র এবং শব্দ ( সাউন্ড)।  এই মাধ্যমগুলোর বিভিন্ন রুপও রয়েছে।  এই তিনটি মাধ্যম কখনো একসাথে আমাদের সামনে আভির্ভুত  হয়,  আবার কখনো আলাদাভাবে হাজির হয়ে যায়।  এসব প্রকাশ মাধ্যমকে আমরা কাগজের প্রকাশনা, রেডিও, টেলিভিশন, ওয়েবপেইজ , ওয়েবসাইট, শিক্ষামূলক সফটওয়্যার নামে চিনি।।  তবে এগুলোর সবগুলোকেই আমরা মাল্টিমিডিয়া বলবো না,,  কাগজের প্রকাশনা বা রেডিওকে কেউ মাল্টিমিডিয়া বলতে চাইবে না এবং বলতেও পারবে না।  টেলিভিশন, সিনেমাকে আমরা মাল্টিমিডিয়া বলতে পারি। 

মাল্টিমিডিয়া সাধারণত ডিজিটাল যন্ত্রের ধারণা বা পরিচালনা করা যায়। এটি সরাসরি মঞ্চে প্রদর্শন করা হতে পারে ও সরাসরি সম্প্রচারও হতে পারে।  মাল্টিমিডিয়া বিষয়বস্তু ধারণ ও পরিচালনা করার ইলেকট্রনিক যন্ত্রকেও মাল্টিমিডিয়া নামে চিহ্নিত করা হয়।
Md. Saiful Islam


কোনো একটি কর্মকান্ডে তিনটি মাধ্যমকে একসাথে ব্যবহার করাকেই মাল্টিমিডিয়া বলা হয়।  উনিশ শতকের শেষ প্রান্তে ১৮৯৫ সালে সিনেমা বা চলচ্চিত্র উদ্ভব হওয়ার পরে তাতে বর্ণ, চিত্র, শব্দ এবং এনিমেশন বা চলমানতা যুক্ত হওয়া বিভিন্ন মাধ্যমের পরস্পর সংলগ্ন হবার ব্যাপারটি ঘটতে থাকে যা মাল্টিমিডিয়ার একটি রুপ।  আজকের দিনের মাল্টিমিডিয়ার পূর্বপূরুষ বলতে তাই সিনেমাকে স্মরণ করতে হবে। তবে প্রযুক্তিগতভাবে বিভিন্ন মাধ্যমের যুক্ত হবার সেই সূচনা কালটি  অনেক আগের হলেও এসবের সাথে কম্পিউটারের যুক্ত হবার ব্যাপারটি খুব বেশিদিনের নয়। 

ভিডিও গেমস, শিক্ষামূলক সফটওয়্যার, ওয়েবপেজগুলোকে আমরা ইন্টারএক্টিব মাল্টিমিডিয়া বলতে পারি। 
Reactions

Post a Comment

3 Comments