ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ এর বাংলাদেশ টিমের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছিল।। যেদিন স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছিল সেদিনই স্কোয়াড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা এবং বিতর্ক হচ্ছে। ইমরুল কায়েসকে দলে না নেয়ার কারণে অনেক সমালোচনাও হয়েছে, এমনকি তাকে দলে নেয়ার জন্য মিছিলও বের হয়েছিল। আবার তাসকিন আহমেদ বিশ্বকাপে স্কোয়াড ঘোষণার সময় জায়গা পান নি।। তিনি মিডিয়ার সামনে কেদে দিছিলেন। অবশেষে তাসকিন আহমেদ এর সেই কাদার প্রতিদান মিলে গেলো!!
বিশ্বকাপ স্কোয়াড এ আবু জায়েদ রাহী এর জায়গায় নতুন করে তাসকিন আহমেদকে নেওয়া হলো।
তাহলে এখন আবু জায়েদ রাহী এর তো কপাল পুরে গেল। তাসকিন আহমেদ এর ভাগ্যটা অনেক ভালো ।। আবু জায়েদ রাহীকে স্কোয়াড থেকে বাদ দিয়ে কি তবে রাহীর সাথে চরম অন্যায় করা হলো???
আবু জায়েদ রাহী যখন বিশ্বকাপ স্কোয়াড এ জায়গা পেলেন তখন তিনি খুশিতে উদ্ভাশিত হয়ে গেছিলেন। তিনি বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু কপাল এ না থাকলে কি আর করার!! আবু জায়েদ রাহীর ভাগ্য বড়ই নিষ্ঠুর।
আবু জায়েদ রাহীর বাবা নেই। তার বাবা যখন মারা যায়, তখন আবু জায়েদ রাহী বিদেশে পাড়ী জমান। প্রবাসে বাস করতেন । কিন্তু সেখানে তিনি অনেক ভালো ক্রিকেট খেলার সক্ষমতা প্রকাশ করেছিল । তার পারফরম্যান্স দেখে তার বন্ধুবান্ধব এবং তার প্রবাসী মেন্টরগুলো তাকে বাংলাদেশ এ পাঠিয়ে দেয়৷ তখন থেকে তিনি বাংলাদেশ এই ক্রিকেট খেলা শুরু করেন।
আবু জায়েদ রাহীকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, "" আবু জায়েদ রাহী ইনজুরিতে পড়েছিলেন। তাই তিনি অনুশীলন এ অংশগ্রহণ করতে পারেন নি। অবশ্য বিশ্বকাপ খেলা শুরু হতে অনেক দেরি। তাই এখন কেন তাকে বাদ দিয়ে তাসকিন আহমেদকে দলে নেয়া হলো কেন??
প্রশ্ন রয়েই গেল।
0 Comments