Ad Code

অলক্ষুণে পরী -গল্প

গল্পের নাম; অলক্ষুণে পরী

অলক্ষুণে পরী

চলুন শুরু করি ;
এক সুন্দর রাজপ্রাসাদে এক রাজা ছিলেন। তার অতি সুন্দরী একটা রানী ছিল। তার তিনটি পুত্র সন্তান ছিল। কিন্তু কোনো কন্যা সন্তান ছিল না।  তাদের সুখ শান্তির কোনো অভাব ছিল না। কিন্তু কন্যা সন্তান না থাকায় তাদের মনে বিষন্নতা ছিল। কিন্তু কন্যা সন্তান না থাকায় রানীর মনে অনেক কষ্ট ছিল, কিন্তু তিনি তবুও সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন। রাজ্যের দাস-দাসী, প্রজাগণ রানীকে অনেক সম্মান করতেন। একদিন রানী হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করেন।  তিনি তাড়াতাড়ি শুতে যান এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি স্বপ্নে দেখেন যে, " একটি পরী যেমন তার রূপ, তেমনি গুণ।  দেহ অতি সুদর্শনীয়। তিনি রানীকে বললেন, রানী মা আপনার এতো দুঃখ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এতো হাসিখুশি থাকেন?? আপনার ধর্য্যের সীমা নেই। আপনি আমার কাছে কি চান?? রানী তার কথায় মুগ্ধ হয়ে বললেন,  আমার সব আছে, কিন্তু কন্যা সন্তান নাই। আমি একটা কন্যা সন্তান চাই। রানী তখনও দুষ্ট রানীর উদ্দেশ্য  বুঝতে পারে নি। পরীটা বলেছিল, রাজপ্রাসাদের বাইরে অনেকগুলো ফলের বাগান রয়েছে।। সেখানে একটি অমৃত ফলের গাছ আছে। সেই ফলের রঙ সোনালী। সেই ফলটা খেলে আপনার গর্ভে এক সুন্দরী রাজকন্যা আসবে।  সুন্দরী রানীটি তখনও বুঝতে পারলেন না যে দুষ্ট পরীটি তার কত বড় ক্ষতি করতে যাচ্ছেন৷  ঘুম থেকে উঠে রানী মহাখুশিতে দাস-দাসীদের ডাকলেন। তিনি বাগান থেকে একটি অমৃত ফল আনতে বললেন।  রানীর কথামতো দাস-দাসীরা এনে দিল। রানী সেই ফলটা খেলেন। কয়েক মাস পর,  রানী সন্তান সম্ভবা হলেন। রাজা এ কথা শুনে খুব খুশি হলেন। রাজ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে গেল।  হঠাৎ একদিন রানীর প্রসব ব্যাথা উঠলো। তিনি একটা রাক্ষুসি জন্ম দিলেন। এ কথা রাজ্যের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়লো। রাজা খুব রাগান্বিত হলেন।  তবুও রানীর প্রতি তার একটুও ভালোবাসা কমে নি।  রাক্ষসীর ভিতর দুষ্ট পরীটার আত্না বিরাজ করছিল। রাক্ষসীকে দিয়ে অনেক খারাপ কাজ করাতো। রাক্ষসীর অত্যাচারে রাজ্যের সকল মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যায়। রানী ক্লান্ত শরীরে একদিন দুপুরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।  তখন অন্য পরী এসে রানীকে বললেন,  " আমার অনেক দুঃখ। কিন্তু বলার মতো কোনো মানুষ নেই। রানী বললেন , তোমার কিসের দুঃখ আমায় খুলে বলো "। তখন পরীটা বলেছিল " আপনার যে এতো বড় ক্ষতি করেছে সে আমার জমজ বোন। ও খুব দুষ্ট।  আমি ওর পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই। আমার বোনকে ফেরত চাই৷ রাক্ষসী আপনার কন্যা সন্তান নয়। আমার বোনের আত্না ঐ রাক্ষসীর ভিতরে।  রাক্ষসীর কাছ থেকে সে চলে গেলে আপনি আপনার কন্যা সন্তানকে ফিরে পাবেন। আমি একটা উপায় বলে দিচ্ছি। আপনাকে আমি এই তরলটি দিচ্ছি। এই তরল আপনি আপনার রাক্ষসীর খাবারের সাথে মিশিয়ে দিবেন তাহলে আপনি আপনার কন্যা সন্তানকে ফিরে পাবেন। "" রানী পরীটার কথামতো তরলটি খাবারের সাথে মিশিয়ে দিল। ফলে রাক্ষসী রাজকন্যার শরীর থেকে চলে গেল। রানী তার কন্যাকে ফিরে পেল। রাজা এই খুশিতে বিরাট আয়োজন করলেন।  তখন অলক্ষুণে পরীটা নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার বোনের সাথে চলে গেল। রাজ্যে আবার সুখ ফিরে এলো। 

Reactions

Post a Comment

2 Comments